রামগতি পৌরসভার অস্থায়ী কাঁচাবাজার (কিচেন মার্কেট) নির্মাণ নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
স্থানঃ পৌরসভা অডিটোরিয়াম তারিখঃ ১৩ অক্টোবর ২০২৩ইং
উপস্থিত ছিলেনঃ পৌর পরিষদ, সকল দৈনিক ও আঞ্চলিক পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ, আলেকজান্ডার বাজার পরিচালনা কমিটি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
রামগতি পৌরসভার আওতাধীন আলেকজান্ডার বাজারের আল-আমিন টলশেড ও কাঁচা বাজারটি পৌরসভার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে ছিলো এবং বর্তমানে ও আছে। গত ২-৩ বছর পূর্বে মার্কেট গুলো আগুনে পুড়ে যাওয়ায় মার্কেটে অবস্থানরত ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সন্মুখীন হয় এবং উক্ত জায়গা পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। মার্কেট নির্মাণে পৌরসভার বরাদ্দ না থাকায় উক্ত স্থানে খোলা বা কিচেন মার্কেট নির্মাণ করা সম্ভব হয় নি। ফলে ফুটপাতে অবস্থানরত ব্যবসায়ীরা ছাপরা বা পলিথিন টাঙ্গিয়ে উক্ত স্থানে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
এমতাবস্থায় পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্দ্যোগে “কোভিড-১৯ রিকভারী প্রজেক্টের” আওতায় পৌরসভার রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কিচেন মার্কেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত স্থানে বা ফুটপাতে অবস্থানরত ব্যবসায়ীদেরকে আল-আমিন টলশেডে অস্থায়ী ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য সারিবদ্ধ ভাবে বসানো হয়।
তৎপ্রেক্ষিতে গত ১১/১০/২০২৩ইং তারিখে “দৈনিক মানবজমিন” পত্রিকায় রামগতিতে খাস জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, যাহা আমাদের দৃষ্টিগোছর হয় । খবরটি সম্পন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। প্রকৃতপক্ষে ঘটনাটি হলো প্রবল বৃষ্টি পাতের কারনে বাজারের শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বাজার পরিচালনা কমিটি এবং ব্যবসায়ীদের উদ্দ্যোগে তাদেরকে অস্থায়ী ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয় যাহা কারো ব্যক্তিগত স্বার্থ ও সুবিধা বিবেচনা করে নয়।
আমরা পৌর পরিষদ, বাজার পরিচালনা কমিটি ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা “দৈনিক মানবজমিন” পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রদিবাদ জানিয়ে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জন্য সম্পাদকের প্রতি অনুরোধ রইল।